Pages

Monday, May 23, 2016

বাংলা নামের উৎপত্তি কি ভাবে হয়েছিল?

ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআন অনুযায়ী সৃষ্টির আদিতে মানবকূল ছিল একই গোষ্ঠীভূক্ত (আল-কুরআন-২ঃ২১৩)। সময়ের প্রেক্ষাপটে জনসংখ্যা বেড়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী ও জাতিতে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তৌরাত ও আল-কুরআন-এর বর্ণনা অনুযায়ী, হযরত নূহ (আঃ) মহাপ্লাবনের পূর্বে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসীদের নিয়ে বজরায় আরোহণ করেন। এর বাইরে থাকা পৃথিবীর সকল স্থলজ প্রাণী মৃত্যুবরণ করে। প্লাবনের পর হযরত নূহ (আঃ)-এর নির্দেশে তাঁর অনুসারীরা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেন। যে সব অঞ্চলে তাঁরা বসতি স্থাপন করেন, তাদের নামানুসারেই সেসব অঞ্চলের নামকরণ করা হয়।   এভাবেই পৃথিবীতে দ্বিতীয় দফায় মানব জাতির বিস্তার ঘটে এবং অনুমান করা হয় যে, আধুনিক বিশ্বের মানব গোষ্টী তাদেরই বংশধর। সে অনুসারে হযরত নূহ (আঃ)-কে দ্বিতীয় আদম বলা হয়। হযরত নূহ (আঃ)-এর এক পুত্রের নাম ছিল হাম এবং হামের পুত্রের নাম হিন্দ। হিন্দের দ্বিতীয় পুত্রের নাম বং। ঐতিহাসিকরা দবী করেন- ‘বং’ এবং তাঁর সন্তানেরা এই অঞ্চলে (বর্তমান দুই বাংলা) বসতি স্থাপন করায় এই অঞ্চল ‘বঙ্গ’ নামে পরিচিতি লাভ করে।

মুগল ঐতিহাসিক আবুল ফজল বাঙ্গালাহ নামের উৎপত্তি সম্পর্কে ব্যাখ্যা প্রদান করেন এভাবে যে,
বাঙ্গালাহর প্রাচীন নাম ছিল বঙ। এর পূর্বেকার শাসকগণ সমগ্র প্রদেশে পাশে ২০ গজ এবং উচ্চতায় ১০ গজ উঁচু বাঁধ নির্মাণ করেন। এগুলিকে ‘আল’ বলা হতো। বঙ-এর সাথে আল যুক্ত হয়ে দেশটির বাঙ্গালাহ নামের উৎপত্তি হয় এবং তা ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করে। কেউ হয়ত আবুল ফজলের ব্যাখ্যার সাথে একমত নাও হতে পারেন, তবে এটা পরিষ্কার যে, তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, বাঙ্গালাহ ‘বঙ’ অর্থাৎ প্রাক-মুসলিম যুগের ‘বঙ্গ’ থেকে উৎপত্তি হয়েছে।

শাব্দিক বিশ্লেষণ হচ্ছে বঙ্গ + আল = বঙ্গাল / বংগাল ,পরে শব্দটি বংগাল থেকে বাংলা রূপ ধারণ করে ।

এভাবেই প্রথমে বং/বঙ থেকে বঙ্গাল / বংগাল থেকে বাংলা নামের উৎপত্তি হয়।

4 comments:

  1. এই তথ্যগুলোর প্রথম টপিকটা বইয়ে পায়নি। ধন্যবাদ

    ReplyDelete
  2. thank you for the data, sometime I need this kind of data so keep writing like this.

    ReplyDelete
  3. thank you very much for that answer

    ReplyDelete