Pages

Monday, February 29, 2016

ব্যষ্টিক অর্থনীতির কিছু গুরুত্বপূর্ণ অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এবং উত্তর

১. অর্থনীতির জনক কে?
উত্তরঃ এডাম স্মিথ।
২. আধুনিক অর্থনীতির জনক কে?
উত্তরঃ লর্ড কেইল
 ৩. অর্থনীতির সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ অর্থনীতি এমন একটি পরিবর্তনশীল সমাজ বিজ্ঞান যা মানুষের অসীম অভাব এবং বিকল্প ব্যবহার যোগ্য সীমিত সম্পদের মধ্যে সমন্বয় সাধনকারী কার্যবলি পর্যালোচনা করে।
৪. ব্যষ্টিক অর্থনীতির সংজ্ঞা দাও?
উত্তরঃ অর্থনীতির যে শাখায় বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা সম্পর্কে পৃথক পৃথক ভাবে আলোচনা করা হয় তাকে ব্যষ্টিক অর্থনীতি বলে।
৫. উৎপাদন সম্ভাবনা রেখা কি?
উত্তরঃ উৎপাদন সম্ভবনা রেখা হল এমন একটি রেখা যার বিভিন্ন বিন্দুতে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ চলিত প্রযুক্তির সাপেক্ষে দুটি উৎপন্ন দ্রব্যের সম্ভাব্য বিভিন্ন সংমিশ্রণ নির্দেশ করে। এই রেখাটি PPCরেখা নামে বেশ পরিচিত।
৬. প্রথম বাঙালি নবেল বিজয়ীর নাম কি?
উত্তরঃ অধ্যাপক অমর্ত্য সেন।
৭. উপযোগ বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ কোন দ্রব্যের দ্বারা মানুষের অভাব পূরণের ক্ষমতাকে অর্থনীতিতে উপযোগ বলে।
৮. চাহিদা কি?
উত্তরঃ কোন ক্রেতার নিকট একটি নির্দিষ্ট  দ্রব্য ক্রয় করার আকাঙ্ক্ষা ও সমর্থ থাকলে এবং ঐ নিদিষ্ট দামে দ্রব্য ক্রয় করার ইচ্ছা থাকলে তাকে অর্থবিদ্যায় চাহিদা বলা হয়।
৯. চাহিদা বিধি কি?
উত্তরঃ " দাম বাড়লে চাহিদা কমে দাম কমলে চাহিদা বাড়ে " এটাই চাহিদা বিধি।
১০. চাহিদা রেখা কি?
উত্তরঃ চাহিদা রেখা হল চাহিদা বিধির জ্যামিতিক প্রকাশ। যে রেখা দ্বারা বিভিন্ন মূল্য একটি দ্রব্যের চাহিদার পরিমাণ নির্দেশ করা হয় তাকে চাহিদা রেখা বলে।
১১. চাহিদা রেখা বাম থেকে ডান দিকে নিম্নগামী হয় কেন?
উত্তরঃ চাহিদা বিধির প্রভাবে।
১২. চা ও কফি কোন ধরনের দ্রব্য?
উত্তরঃ পরিপূরক দ্রব্য।
১৩. যোগান কি?
উত্তরঃ কোন বিক্রেতা একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি নির্দিষ্ট দামে যে পরিমাণে পন্য বিক্রের ইচ্ছা করে বা প্রস্তুত করে তাকে অর্থনীতিতে যোগান বলে।
১৪. যোগান রেখা কি?
উত্তরঃ যে রেখা দ্বারা বিভিন্ন মূল্য একটি দ্রব্যের যোগানের পরিমাণ নির্দেশ করা হয় তাকে যোগান রেখা বলে।
১৫. যোগান রেখা কেন ডান দিকে উর্ধ্বগামি হয়?
উত্তরঃ বাম থেকে ডান দিকে উধ্বগামী যোগান রেখা দ্বারা কেবল মাত্র যোগানবিধি প্রকাশ করা সম্ভব, তাই একটি যোগান রেখা বাম থেকে ডানদিকে উর্ধ্বগামি হয়।
১৬. ভারসাম্য কি?
উত্তরঃ ভারসাম্যের সাধারণ অর্থ সমানভাবে স্থির থাকা তাই অর্থনীতিতে ভারসাম্য বলতে বুঝায যেখানে দুই বা ততোধিক পরস্পরবিরধী শক্তি মিলিত হয় এবং কোন শক্তিরই এ অবস্থান থেকে বিচ্যুত হওয়ার প্রবণতা থাকে না।
১৭.দুষ্প্রাপ্যতা বা স্বল্পতা কি?
উত্তরঃ মানুষের জীবনে অভাব অসীম হলেও অভাব পূরণের সম্পদ খুবই সীমিত। সীমিত সম্পদের বিষয়টি বুঝানোর জন্যই মুলত অর্থনীতিতে দুষ্প্রাপ্যতার ধারনাটির উদ্ভব হয়েছে।! 

Sunday, February 28, 2016

লাহোর প্রস্তাব কি?

১৯৪০ খ্রীস্টাব্দের ২৩ মার্চ নিখিল ভারত মুসলিম লীগ ভারতীয় উপমহাদেশে একটি স্বতন্ত্র মুসলিম দেশের দাবী জানিয়ে ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব অনুমোদন করে। বর্তমান পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সম্মেলনে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরবর্তীতে এটি পাকিস্তান প্রস্তাব হিসেবে অভিহিত হয়।

ঐতিহাসিক পটভূমি

লাহোর প্রস্তাব দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়াতে এবং
ভারতীয় নেতৃবৃন্দের মতামত না নিয়ে ভারত সরকারের যুদ্ধে যোগদানের কারণে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তা আলোচনা করতে এবং ১৯৩৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশসমূহে মুসলিম লীগের পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণের জন্য মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৪০ সালে লাহোরে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সাধারণ অধিবেশন আহবান করেন। মুসলিম লীগের কর্মীদের একটি ক্ষুদ্র দল নিয়ে হোসেন শহীদ সোহরার্দী ১৯৪০ সালের ১৯ মার্চ লাহোরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। অধিবেশনে যোগদানের জন্য বাংলার মুসলিম লীগ দলের নেতৃত্ব দেন এ.কে ফজলুল হক এবং তাঁরা ২২ মার্চ লাহোরে পৌঁছেন। বাংলার প্রতিনিধি দলকে বিপুল জয়ধ্বনি দিয়ে বরণ করা হয়। জিন্নাহ তাঁর
দুঘণ্টারও অধিক সময়ব্যাপী বক্তৃতায় কংগ্রেস ও
জাতীয়তাবাদী মুসলমানদের সমালোচনা করেন এবং দ্বি-জাতি তত্ত্ব ও মুসলমানদের স্বতন্ত্র আবাসভূমি দাবি করার পেছনের যুক্তিসমূহ তুলে ধরেন। তাঁর যুক্তিসমূহ সাধারণ মুসলিম জনতার মন জয় করে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী সিকান্দার হায়াত খান লাহোর প্রস্তাবের প্রারম্ভিক খসড়া তৈরি করেন, যা আলোচনা ও সংশোধনের জন্য নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সাবজেক্ট কমিটি সমীপে পেশ করা হয়। সাবজেক্ট কমিটি এ প্রস্তাবটিতে আমূল সংশোধন আনয়নের পর ২৩ মার্চ সাধারণ অধিবেশনে ফজলুল হক সেটি উত্থাপন করেন এবং চৌধুরী খালেকুজ্জামান ও অন্যান্য মুসলিম নেতৃবৃন্দ তা সমর্থন করেন। ২৩ মার্চ ১৯৪০ সালে পাকিস্থানের লাহোরে মুসলিম লীগের সম্মেলনে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক কর্তৃক উত্থাপিত এই প্রস্তাবটিই ইতিহাসে লাহোর প্রস্তাব নামে পরিচিত।

মূল বৈশিষ্ট্য

প্রথমত: নিখিল ভারত মুসলিম লীগ দৃঢ়তার সাথে
পুন:ঘোষণা করছে যে, ১৯৩৫ খ্রীস্টাব্দের ভারত শাসন আইন -এ যে যুক্তরাষ্ট্রের (Federal) পরিকল্পনা রয়েছে, তা এ দেশের উদ্ভূত অবস্থার প্রেক্ষিতে অসঙ্গত ও অকার্যকর বিধায় তা ভারতীয় মুসলমানদের জন্য অগ্রহণযোগ্য।

দ্বিতীয়ত: সমস্ত সাংবিধানিক পরিকল্পনা নতুনভাবে বিবেচনা না করা হলে মুসলিম ভারত অসন্তুষ্ট হবে
এবং মুসলমানদের অনুমোদন ও সম্মতি ব্যতিরেকে সংবিধান রচিত হলে কোন সংশোধিত পরিকল্পনা ও
তাদের নিকট গ্রহণযোগ্য হবে না।

তৃতীয়ত: নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সুচিন্তিত অভিমত এরূপ যে, ভারতে কোন শাসনতান্ত্রিক
পরিকল্পনা কার্যকর হবে না যদি তা নিম্নবর্ণিত মূলনীতির উপর ভিত্তি করে রচিত না হয়: (ক)
ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী সংলগ্ন বা সন্নিহিত স্থানসমূহকে 'অঞ্চল' হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে, (খ) প্রয়োজন অনুযায়ী সীমানা পরিবর্ত করে এমনভাবে গঠন করতে হবে যেখানে ভারতবর্ষের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান এলাকাগুলো 'স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহ'(Independent States) গঠন করতে পারে, (গ) 'স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের' সংশ্লিষ্ট অঙ্গরাষ্ট্র বা প্রদেশসমূহ হবে স্বায়ত্বশাসিত ও সার্বভৌম।

চতুর্থত: এ সমস্ত অঞ্চলের সংখ্যালঘুদের
ধর্মীয়,সাংস্কৃতিক,রাজনৈতিক,প্রশাসনিক ও অন্যান্য অধিকার ও স্বার্থরক্ষার জন্য তাদের সাথে পরামর্শ সাপেক্ষে সংবিধানের কার্যকর ও বাধ্যতামূলক বিধান রাখতে হবে। ভারতবর্ষের মুসলমান জনগণ যেখানে সংখ্যালঘু সেখানে তাদের সাথে পরামর্শ সাপেক্ষে এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাথেও আলোচনা সাপেক্ষে সংবিধানে কার্যকর বিধান রাখতে হবে।


তথ্যসূত্র
1. ↑ http://bangla.irib.ir/index.php?
option=com_content&task=view&id=9824
2. ↑ http://bn.banglapedia.org/index.php
বাংলাপিডিয়া , লাহোর প্রস্তাব
3. https://bn.m.wikipedia.org/wiki/লাহোর_প্রস্তাব

Saturday, February 27, 2016

Principles of Finance's some important short Questions and Answer

1. What is fainance?
Ans. Fainance is the art and science of meanging money.
2. what is business finance?
Ans. Business finance is that business activity which is concerned with the acquisition and conversation of capital funds in meeting the financial need and overall of objective of business enterprise.
3.What is wealth maximization?
Ans. Wealth maximization means the process of maximization value shares and net value of firm.
4. What is financial market?
Ans. Financial market are forms in which supplies of funds and demanders of funds can translated in business directly.
5. What is EPS?
Ans. EPS means Earnings per share. we determine Earning Per Share (EPS) dividing Net profit by the number shareholders i, e, EPS = EAT ÷Ns.
6. What is IPO?
Ans. IPO means Initial public offer. After initiating when a company offers to sell it's first shares, then it's called initial public offer.
7. What is bond or debenture?
Ans. A bond is a long term debt instrument issued by corruption or government.
8. What is treasurer?
Ans. Treasurer is the chief manager of a firm who is responsible for a firm's financial activity especially found collection, capital decisions, cash credit, position fund and foreign exchange.
8. What is meant by risk?
Ans. Risk is defined as the variability of possible return from a project.
9. What is capital?
And. The long time fund of a firm is called capital.
10. What is authorized shares?
Ans. The share that are allowed to issue by corporate charter are called  authorized shares.
11.What is authorized capital?
Ans. The highest amount of capital of company expressed in it's memorandum of association is called authorized capital.
12. What is zero-growth model?
Ans. Zero-growth is a dividend valuation approach, that assumes, the amount of dividend is constant and non-growing stream.
13.What is book value?
Ans. The amount per share of common stock that would be received if all of the firm's assets were sold for their exact book (accounting) value and the proceeds remaining after paying all liabilities (including preferred stock) were dividend among the ordinary stockholders.

Friday, February 26, 2016

ছয় দফাগুলো কি কি?

ছয় দফা আন্দোলন বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা। ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে “৬ দফা দাবি” পেশ করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দফা উত্থাপন করা হয় লাহোর প্রস্তাবের সাথে মিল রেখে ২৩ মার্চ। ছয় দফা দাবির মূল উদ্দেশ্য- পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেলরাষ্ট্র এবং ছয় দফা কর্মসূচীর ভিত্তিতে এই ফেডারেলরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যকে পূর্ন স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে । ছয়দফা কর্মসূচীর ভিত্তি ছিল ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব। পরবর্তীকালে এই ৬ দফা দাবিকে কেন্দ্র করে বাঙালি জাতির স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলন জোরদার করা হয় । 
১৯৬৬ সালের ছয় দফা দাবিসমূহ

প্রস্তাব - ১ :
শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি:

দেশের শাসনতান্ত্রিক কাঠামো এমনি হতে হবে যেখানে পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেশনভিত্তিক
রাষ্ট্রসংঘ এবং তার ভিত্তি হবে লাহোর প্রস্তাব । সরকার হবে পার্লামেন্টারী ধরনের। আইন পরিষদের (Legislatures) ক্ষমতা হবে সার্বভৌম। এবং এই পরিষদও নির্বাচিত হবে সার্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে জনসাধারনের সরাসরি ভোটে।

প্রস্তাব - ২ :
কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা:

কেন্দ্রীয় (ফেডারেল) সরকারের ক্ষমতা কেবল মাত্র দু'টি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে- যথা, দেশরক্ষা ও
বৈদেশিক নীতি। অবশিষ্ট সকল বিষয়ে অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলির ক্ষমতা থাকবে নিরঙ্কুশ।

প্রস্তাব - ৩ :
মুদ্রা বা অর্থ-সমন্ধীয় ক্ষমতা:

মুদ্রার ব্যাপারে নিম্নলিখিত দু'টির যে কোন একটি প্রস্তাব গ্রহন করা চলতে পারেঃ-
(ক) সমগ্র দেশের জন্যে দু'টি পৃথক, অথচ অবাধে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা চালু থাকবে।
অথবা
(খ)বর্তমান নিয়মে সমগ্র দেশের জন্যে কেবল মাত্র একটি মুদ্রাই চালু থাকতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে
শাসনতন্ত্রে এমন ফলপ্রসু ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে করে পূর্ব-পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে
মূলধন পাচারের পথ বন্ধ হয়। এক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক ব্যাংকিং রিজার্ভেরও
পত্তন করতে হবে এবং পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক আর্থিক বা অর্থবিষয়ক নীতি প্রবর্তন করতে হবে।

প্রস্তাব - ৪ :
রাজস্ব, কর, বা শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা:

ফেডারেশনের অঙ্গরাজ্যগুলির কর বা শুল্ক ধার্যের ব্যাপারে সার্বভৌম ক্ষমতা থাকবে। কেন্দ্রীয়
সরকারের কোনরূপ কর ধার্যের ক্ষমতা থাকবে না। তবে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য অঙ্গ-রাষ্ট্রীয়
রাজস্বের একটি অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাপ্য হবে। অঙ্গরাষ্ট্রগুলির সবরকমের করের শতকরা একই হারে আদায়কৃত অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল গঠিত হবে।

প্রস্তাব - ৫ :
বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা:

(ক) ফেডারেশনভুক্ত প্রতিটি রাজ্যের বহির্বাণিজ্যের পৃথক পৃথক হিসাব রক্ষা করতে হবে।
(খ) বহির্বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অঙ্গরাজ্যগুলির এখতিয়ারাধীন থাকবে।
(গ) কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা সমান হারে অথবা সর্বসম্মত কোন হারে
অঙ্গরাষ্ট্রগুলিই মিটাবে।
(ঘ) অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলির মধ্যে দেশজ দ্রব্য চলাচলের ক্ষেত্রে শুল্ক বা করজাতীয় কোন বাধা-নিষেধ
থাকবে না।
(ঙ) শাসনতন্ত্রে অঙ্গরাষ্ট্রগুলিকে বিদেশে নিজ নিজ বানিজ্যিক প্রতিনিধি প্রেরণ এবং স্ব-স্বার্থে
বানিজ্যিক চুক্তি সম্পাদনের ক্ষমতা দিতে হবে।

প্রস্তাব - ৬ :
আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা:

আঞ্চলিক সংহতি ও শাসনতন্ত্র রক্ষার জন্য শাসনতন্ত্রে অঙ্গ-রাষ্ট্রগুলিকে স্বীয় কর্তৃত্বাধীনে
আধা সামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন ও রাখার ক্ষমতা দিতে হবে। 


তথ্যসুত্র https://bn.m.wikipedia.org/wiki/ছয়_দফা_আন্দোলন

Book list of Marketing

1.Principles of marketing (L›`Kvi gvmy`¾vgvb A_ev Ryevq`v bvmixb)
2. Introduction to computer (gvnveyeyi ingvb)
3.Principles of management(cÖ‡dQi G‡K AvRv` ‡PŠayix, MÖš’ KzwUi)
4.Principles of Accounting(Gg.G Kvjvg)
5.Introduction to Bussiness (G‡K ‡PŠayix, G‡K †PŠayix)
6.m¦vaxb evsj‡`‡ki Afy¨`‡qi BwZnvm ( †gvt iwKeyj nK, †gvt dwi` †nv‡mb, wiwRqv †eMg )

Thursday, February 25, 2016

ব্যবস্থাপনা নীতিমালার কিছু গুরুত্বপূর্ণ অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এবং উত্তর।

১.আধুনিক ব্যবস্থাপনার জনক কে?
উত্তরঃ হেরনি ফেয়ল।
২.বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার জনক কে?
উত্তরঃ এফ. ডব্লিউ টেইলর।
৩.ব্যবস্থাপনা সর্বজনীন উক্তিটি কে দিয়েছে?
উত্তরঃ গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস।
৪.  কর্মী ব্যবস্থাপনার জনক কে?
উত্তরঃ রর্বাট ওয়েন।
৫. শুষ্ক পদন্নোতি কাকে বলে?
উত্তরঃ উচ্চতর পারিশ্রমিক ব্যতিরেকে পদোন্নতি দেয়া হলে তাকে শুস্ক পদন্নোতি বলে। সহজ ভাষায় বেতন না বৃদ্ধি পেয়ে যে পদন্নোতি হয় তাকে শুস্ক পদন্নোতি বলে।
৬. মেট্রিক্স সংগঠন কাকে বলে?
উত্তরঃ মেট্রিক্স সংগঠন হলো এমন একটি কাঠামো যেখানে কার্যভিত্তিক বিভাগীয়করন বা অঞ্চলভিত্তিক বিভাগীয়করণের মাধ্যমে সংগঠন তৈরি করা হয়।
৭. T.O.W.S কী?
উত্তরঃ Threats, Opportunities, Weaknesses, Strengths.
৮. পদন্নোতির ভিত্তি কী?
উত্তরঃ পদন্নোতির ভিত্তি হলো - ১.জ্যেষ্ঠতাভিত্তিক পদন্নোতি ২.যোগ্যতাভিত্তিক পদন্নোতি
৯. বরখাস্ত বা পদচ্যুতি কাকে বলে?
উত্তরঃ প্রতিষ্ঠানের কোন পদে কর্মরক কর্মীকে কোন গুরুত্বপূর্ণ অপরাধের জন্য প্রতিষ্ঠানের কাজ হতে বহিস্কার করা হলে তাকে বরখাস্ত বা পদচ্যুতি বলে।
১০. প্রেষনার দ্বি-উপাদান তত্ব কে দিয়েছেন?
উত্তরঃ হর্জ বার্র
১১. স্থায়ী পরিকল্পনা কাকে বলে?
উত্তরঃ সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য এবং বার বার ব্যবহারের নিমিত্তে যে পরিকল্পনা প্রণযন করা হয় তাকে  স্থায়ী পরিকল্পনা বলে।
১২. অলমনিয় বাজেট কাকে বলে?
উত্তরঃ যে বাজেট পরিবর্তন করা হয় না তাকে অলমনিয় বাজেট বলে।
১৩. মনোস্তান্তিক অভিক্ষা কী?
উত্তরঃ মনোস্তান্তিক অভিক্ষার মাধ্যমে মানুষের গুণাগুনের হিসাব করা হয়।
১৪. ই-কমার্স কী?
উত্তরঃঘরে বসে অনলাইনের বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবসায়িক ক্রয় বিক্রয়, লেনদেন, মুল্য গ্রহণ বা পরিশোধ ইত্যাদি কার্য সম্পাদন করা হলে তাকে ই-কমার্স বলে।
১৫. পদ্মা সেতু তৈরিতে কোন ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হযেছে?
উত্তরঃ একাথর্ক।
১৬. অনার্থিক প্রষণা কাকে বলে?
উত্তরঃ অনার্থিক সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে যে প্রেরষণাদান করা হয় তাকে অনার্থিক প্রষণা বলে।
১৭. লগামহীন নেতৃত্ব কী?
উত্তরঃ যে নেতৃত্বে কর্মীরা পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে এবং নিজের মত কাজ করে, নেতা এতে কোন হস্তক্ষেপ করে না তাকে লগামহীন নেতৃত্ব বলে।
১৮.নিয়ন্ত্রনের ভিত্তি কী?
উত্তরঃ পরিকল্পনাকে নিয়ন্ত্রণের ভিত্তি বলা হয়।
১৯.সরলরৈখিক সংগঠন কী?
উত্তরঃ যে সংগঠনে দায়িত্ব ও ক্ষমতা উধ্বতন থেকে অধন্তন পর্যন্ত অর্থৎ উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সরলরেখার মত নিমে আসে তাকে সরলরৈখিক সংগঠন বলে।
২০. F.W. Taylor এর বিখ্যাত বইটির নাম কী?
উত্তরঃ Scientific Management.

Tuesday, February 23, 2016

স্বাধীন বাংলাদেশের অভুদয়ের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এবং উত্তর

.ইতিহাস শব্দের উৎপত্তি কোন শব্দ থেকে?
উত্তরঃ গ্রিক শব্দ
.আইন--আকবরি গ্রন্থের লেখক কে?
উত্তরঃ আবুল ফজল ইবন মুবারক
. বাংলাদেশের নদ- নদীর সংখ্যা কত?
উঃ ২৩০ টি (বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বা "পাউবো"
বাংলাদেশের নদীগুলোকে সংখ্যাবদ্ধ করেছে এবং
প্রতিটি নদীর একটি পরিচিতি নম্বর দিয়েছে এর
ফলে তাদের হিসাব অনুযায়ি বাংলাদেশে নদীর
সংখ্যা এখন ৪০৫টি) আবার কোথাও কোথাও ৭০০ টি বলা হয়েছে
.দ্বীজাতি তত্বের প্রদতা কে?
উত্তরঃ কায়েদে আজম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর
. লাহর প্রস্তাব কত সালে উত্থাপিত হয কত সালে?
উত্তরঃ ১৯৪০ সালের ২৩ মার্চ
. ভারতের স্বাধীনতা আইন কত সালে পাশ হয়?
উত্তরঃ ১৯৪৭ সালে
. আওমী মুসলিম লীগের প্রথম সভাপতি কে ছিলেন?
উত্তরঃ মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী
. যুক্ত ফন্ডের দফা ছিল কয়টি?
 উত্তরঃ ২১ দফা
. কে কত সালে দফা প্রদান করেছিলেন?
উত্তরঃ শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে
১০. আসাদ গেটের পূর্রের নাম কি?
উত্তরঃ আইয়ুব গেট
১১. কত সালে কে শেখ মুজিবকেবঙ্গবন্ধুউপাধি দেন?
উত্তরঃ- তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবকেবঙ্গবন্ধুউপাধি দেয়া হয়- ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯
১২. মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে কতটি সেক্টরে ভাগ করা হয়?
উত্তরঃ ১১ টি
১৩. কত সালে কোন পত্রিকায় শেখ মুজিবুর রহমানকে "poet of politics" বলে উপাধি দেয়?
 উত্তরঃ এপ্রিল ১৯৭২ সালে মার্কিন সাময়িকী 'নিউজ উইক' ম্যাগাজিনে
১৪. পাকিস্তানে সর্বপ্রথম সাময়িক আইন জারি করেন কে?
উত্তরঃ ইস্কান্দার মির্জা
১৫. ১৯৭০ সালের নির্বাচনে  আওমেলীগ জাতীয় পরিষদে কত আসনে জয় লাভ করেন?
উত্তরঃ ১৬৯ টি আসনের মধ্যে ১৬৭ টি আসনে জয় লাভ
১৬. আখন্ড স্বাধীন বাংলা রাষ্ট্রের প্রয়াস কত সালে গ্রহণ করা হয়?
উত্তরঃ ১৯৪৭ সালে

Monday, February 22, 2016

বাঙালীরা সংকর জাতি ?



বাঙালীরা সংকর জাতি

বিষয়ঃ স্বাধীন বাংলাদেশের অভুদয়ের ইতিহাস

বাঙালি জাতির রক্তের মধ্যে বিভিন্ন জাতির রক্তের অনুপ্রবেশ থাকার কারণে বাঙালি জাতিকে সংকর জাতি বলা হয়
বাঙালি জাতি সম্পর্কে নৃবিজ্ঞানীদের ধারণা, এটি একটি মিশ্রিত জাতি এবং অঞ্চলে বসবাসকারী আদিতম মানবগোষ্ঠীসমূহের মধ্যে অন্যতম পৃথিবীর বহু জাতি বাংলায় অনুপ্রবেশ করেছে, অনেকে আবার বেরিয়েও গেছে, তবে পেছনে রেখে গেছে তাদের আগমনের অকাট্য প্রমাণ বৃহত্তর বাঙালির রক্তে মিশ্রিত আছে বহু এবং বিচিত্র সব নরগোষ্ঠীর অস্তিত্ব দীর্ঘকাল বিভিন্ন জন কোমে বিভক্ত হয়ে আদি মানুষেরা বঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করেছে, এবং একে অপরের সঙ্গে মিশ্রিত হয়েছে শতকের পর শতকব্যাপী জাতিতাত্ত্বিক নৃবিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীর চারটি প্রধান নরগোষ্ঠীর প্রতিটির কোনো না কোনো শাখার আগমন ঘটেছে বাংলায় নরগোষ্ঠীগুলি হলো নিগ্রীয়, মঙ্গোলীয়, ককেশীয় অষ্ট্রেলীয় মনে করা হয় যে, বাংলার প্রাচীন জনগুলির মধ্যে অষ্ট্রিক ভাষীরাই সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশের সাঁওতাল, বাঁশফোড়, রাজবংশী প্রভৃতি আদি অষ্ট্রেলীয়দের সঙ্গে সম্পৃক্ত এই আদি জনগোষ্ঠীগুলি দ্বারা নির্মিত সমাজ সামাজিক ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটে আর্যদের আগমনের পর বাংলাদেশের জনপ্রবাহে মঙ্গোলীয় রক্তেরও পরিচয় পাওয়া যায় বাঙালির রক্তে নতুন করে মিশ্রন ঘটল পারস্য-তুর্কিস্তানের শক জাতির আগমনের ফলে বাঙালি রক্তে বিদেশি মিশ্রন প্রক্রিয়া ঐতিহাসিককালেও সুস্পষ্ট ঐতিহাসিকযুগে আমরা দেখি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এবং ভারতের বাহির থেকে আসা বিভিন্ন অভিযাত্রী নরগোষ্ঠী বাঙালি জাতি নির্মাণে অবদান রাখতে গুপ্ত, সেন, বর্মণ, কম্বেজাখ্য, খড়গ, তুর্কি, আফগান, মুগল, পুর্তুগিজ, ইংরেজ, আর্মেনীয় প্রভৃতি বহিরাগত জাতি শাসন করেছে বঙ্গ অঞ্চল এবং রেখে গেছে তাদের রক্তের ধারা এমনকি পাকিস্তান যুগেও আমরা দেখি রক্ত মিশ্রণে চলমান প্রক্রিয়া বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে শংকরত্ব আরো বেগবান হচ্ছে এক কথায় বাঙালি একটি শংকর জাতি