শরিফ শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টে বহু বিষয়ের মধ্যে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিলো এবং যেসকল বিষয়ের কারণে এই রিপোর্টের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ সংঘটিত হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ নিচে উল্লেখ করা হলো–
০১. শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টে ইংরেজিকে বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়। বলা হয় যে, জাতীয় জীবনে ইংরেজি ভাষার গুরুত্ব রয়েছে। এতে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ডিগ্রি পর্যায় পর্যন্ত কারিকুলামে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক চালু করার সুপারিশ করা হয়।
০২. পাকিস্তানে যে সকল ভাষা রয়েছে সেসকল ভাষার জন্য অভিন্ন বর্ণমালা প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়। অর্থাৎ, বাংলা ভাষা বাংলা বর্ণমালায় না
লিখে আরবি অথবা রোমান বা উর্দু বর্ণমালায় লেখার সুপারিশ করা হয়। একইসাথে বাংলা বর্ণামালার সংস্কারের সুপারিশও করা হয়।
০৩. তৎকালীন সময়ে ডিগ্রি পর্যায়ের শিক্ষাকোর্স দুই বছরে সমাপ্ত হতো। কমিশনের রিপোর্টে এই কোর্সের মেয়াদ তিন বছর করার সুপারিশ করা হয়।
০৪. এই কমিশনের রিপোর্টে যে বিষয়বস্তু সবচেয়ে বেশি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে তা হলো, এই রিপোর্টে শিক্ষাকে 'অধিকার’ হিসেবে না দেখে শিক্ষাকে ‘বাণিজ্য’ হিসেবে দেখা হয়েছিল, অর্থাৎ শিক্ষাকে ব্যবসার কাতারে নামিয়ে আনা হয়েছিল। রিপোর্টে ‘অবৈতনিক শিক্ষার ধারণাকে অসম্ভব বলা হয়। এতে বলা হয়, “শিক্ষার জন্য জনসাধারণের নিকট হতে খুব সামান্যই অর্থসাহায্য পাওয়া গিয়াছে এবং আরো স্কুলের জন্য জনসাধারণ যতটা দাবি জানাইয়া থাকে ইহার অনুপাতে ব্যয় বহনের অভিপ্রায় তাহাদের কখনই দেখা যায় নাই।”
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস, ১৮৩০ থেকে ১৯৭১; ড. মোহাম্মদ হাননান; আগামী প্রকাশন
https//:mongoldhoni.net/on-17-september-education-day/
০১. শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টে ইংরেজিকে বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করা হয়। বলা হয় যে, জাতীয় জীবনে ইংরেজি ভাষার গুরুত্ব রয়েছে। এতে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ডিগ্রি পর্যায় পর্যন্ত কারিকুলামে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক চালু করার সুপারিশ করা হয়।
০২. পাকিস্তানে যে সকল ভাষা রয়েছে সেসকল ভাষার জন্য অভিন্ন বর্ণমালা প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়। অর্থাৎ, বাংলা ভাষা বাংলা বর্ণমালায় না
লিখে আরবি অথবা রোমান বা উর্দু বর্ণমালায় লেখার সুপারিশ করা হয়। একইসাথে বাংলা বর্ণামালার সংস্কারের সুপারিশও করা হয়।
০৩. তৎকালীন সময়ে ডিগ্রি পর্যায়ের শিক্ষাকোর্স দুই বছরে সমাপ্ত হতো। কমিশনের রিপোর্টে এই কোর্সের মেয়াদ তিন বছর করার সুপারিশ করা হয়।
০৪. এই কমিশনের রিপোর্টে যে বিষয়বস্তু সবচেয়ে বেশি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে তা হলো, এই রিপোর্টে শিক্ষাকে 'অধিকার’ হিসেবে না দেখে শিক্ষাকে ‘বাণিজ্য’ হিসেবে দেখা হয়েছিল, অর্থাৎ শিক্ষাকে ব্যবসার কাতারে নামিয়ে আনা হয়েছিল। রিপোর্টে ‘অবৈতনিক শিক্ষার ধারণাকে অসম্ভব বলা হয়। এতে বলা হয়, “শিক্ষার জন্য জনসাধারণের নিকট হতে খুব সামান্যই অর্থসাহায্য পাওয়া গিয়াছে এবং আরো স্কুলের জন্য জনসাধারণ যতটা দাবি জানাইয়া থাকে ইহার অনুপাতে ব্যয় বহনের অভিপ্রায় তাহাদের কখনই দেখা যায় নাই।”
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস, ১৮৩০ থেকে ১৯৭১; ড. মোহাম্মদ হাননান; আগামী প্রকাশন
https//:mongoldhoni.net/on-17-september-education-day/
No comments:
Post a Comment