Pages

Monday, August 1, 2016

তমদ্দুন মজলিস কি?

তমদ্দুন মজলিস ১৯৪৭ সালে আবুল কাসেম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের , (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) একটি ইসলামি সাংস্কৃতিক সংগঠন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রথম বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে দাবি তুলে তমদ্দুন মজলিস বাংলা ভাষা আন্দোলন শুরু করে।


তমদ্দুন মজলিশ ইসলামী আদর্শাশ্রয়ী একটি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। দেশে ইসলামী আদর্শ ও ভাবধারা সমুন্নত করার প্রত্যয় নিয়ে ভারত বিভাগের অব্যবহিত পরেই ঢাকায় গড়ে উঠে এই সংগঠনটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেমের উদ্যোগে ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর এটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর নামকরণ হয় পাকিস্তান তমদ্দুন মজলিশ। তমদ্দুন মজলিশ প্রতিষ্ঠায় অধ্যাপক আবুল কাশেমের অগ্রণী সহযোগীদের মধ্যে ছিলেন দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ, অধ্যাপক এ.এস.এম নূরুল হক ভূঁইয়া, শাহেদ আলী, আবদুল গফুর, বদরুদ্দীন উমর, হাসান ইকবাল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় সিনিয়র ছাত্র। প্রফেসর আবুল কাশেম ছিলেন পাকিস্তান তমদ্দুন মজলিশের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ ১৯৪৯ সালে মজলিশের সভাপতি নির্বাচিত হন।
নবগঠিত পাকিস্তান রাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্যে ইসলামী চেতনার উন্মেষ ঘটানো এবং ইসলামী ভাবধারা ও সংস্কৃতির প্রসারই ছিল এই সাংস্কৃতিক ফোরামের মূল লক্ষ্য। এই ইসলামী সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা লক্ষ্যনীয়ভাবেই প্রভাবিত হয়েছিলেন বিশ শতকের চল্লিশের দশকের ক্যালকাটা রেনেসাঁ সোসাইটির মতাদর্শে। সম্ভবত তারা বিভাগপূর্ব বেঙ্গল মুসলিম লীগের বামপন্থী দর্শন বিশেষত আবুল হাশেমের বামপন্থী দর্শনে প্রভাবিত হন। তাদের মধ্যে ইসলামী বিপ্লব বা ইসলামী সমাজতন্ত্রের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা নির্ধারণের ক্ষেত্রে এবং আরও কতক ব্যাপারে তাদের প্রত্যয় ও অবস্থান ছিল গণমুখী। তমদ্দুন মজলিশের গঠনতন্ত্রে বিধৃত এই সংগঠনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিম্নরূপ:
১. কুসংস্কার, গতানুগতিকতা ও প্রতিক্রিয়াশীলতা দূর করে ‘সুস্থ ও সুন্দর’ তমদ্দুন গড়ে তোলা;
২. যুক্তিবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত সর্বাঙ্গ সুন্দর ধর্মভিত্তিক সাম্যবাদের দিকে মানবসমাজকে এগিয়ে নেওয়া;
৩. মানবীয় মূল্যবোধ ভিত্তিক সাহিত্য ও শিল্পের মাধ্যমে নতুন সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা;
৪. নিখুঁত চরিত্র গঠন করে গণজীবনের উন্নয়নে সহায়তা করা।
প্রতিষ্ঠার পর এর প্রথম পর্বে তমদ্দুন মজলিশের ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। মজলিশের উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনায় সারা বছর আলোচনা সভা, সেমিনার, বিতর্ক, নাট্যাভিনয়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতো। এর নিয়মিত কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত ছিল বিভিন্ন বিষয়ে পুস্তক-পুস্তিকা ও প্রচারপত্র প্রকাশ। তমদ্দুন মজলিশের বাংলা মুখপত্র সাপ্তাহিক সৈনিক প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর (২৮ কার্তিক ১৩৫৫)। শুরুতে সৈনিক পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি ছিলেন শাহেদ আলী এবং পরে সভাপতি হন আবদুল গফুর। ঢাকার আজিমপুর রোডের ১৯ নং বাড়ি থেকে পত্রিকাটি প্রকাশিত হতো। ১৯৬১ সাল পর্যন্ত পত্রিকাটি চালু ছিল। বিশ শতকের পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে তমদ্দুন মজলিশ সমগ্র পূর্ব বাংলায় এর কর্মপরিধি বিস্তৃত করতে সক্ষম হয়। জেলা ও মহকুমা পর্যায়ে এবং কোথাও কোথাও থানা পর্যায়ে সংগঠনের শাখা স্থাপিত হয়। প্রথমদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন ক্যাম্পাসের নিকটস্থ রশিদ বিল্ডিং -এ তমদ্দুন মজলিশের কেন্দ্রীয় দফতর স্থাপিত ছিল। ভাষা আন্দোলনের প্রথম পর্বে তমদ্দুন মজলিশের ভূমিকা ছিল অতীব গুরুত্বপূর্ণ। উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার উদ্যোগের বিরুদ্ধে বস্ত্তত তমদ্দুন মজলিশই প্রথম প্রতিবাদ উত্থাপন করে এবং বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিসহ ভাষা আন্দোলনের সূচনায় পথিকৃতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। তমদ্দুন মজলিশ ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ শিরোনামে অধ্যাপক আবুল কাশেম সম্পাদিত একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে। এ ঐতিহাসিক পুস্তিকায় সন্নিবেশিত নিবন্ধগুলোতে এদের লেখক কাজী মোতাহার হোসেন , আবুল মনসুর আহমদ ও অধ্যাপক আবুল কাশেম বাংলাকে পূর্ব বাংলায় শিক্ষার একমাত্র মাধ্যম, অফিস ও আদালতের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখেন। তাঁরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিও তুলে ধরেন। এই মূল পুস্তিকার মুখবন্ধে, পুস্তিকার সম্পাদক আবুল কাশেম কর্তৃক প্রণীত একটি সংক্ষিপ্ত প্রস্তাবনাও ছিল বাংলা ভাষার অনুকূলে। বাংলাকে স্বীকৃতি দানের দাবির এই ঐতিহাসিক প্রস্তাবনার সারসংক্ষেপ ছিল নিম্নরূপঃ
১. বাংলা ভাষাই হবে (ক) পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষার বাহন (খ) পূর্ব পাকিস্তানের আদালতের ভাষা এবং (গ) পূর্ব পাকিস্তানের অফিসের ভাষা; ২. পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের দাপ্তরিক ভাষা হবে দুটি- বাংলা ও উর্দু; ৩. (ক) বাংলাই হবে পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষা বিভাগের প্রথম ভাষা। পূর্ব পাকিস্তানের শতকরা একশ’ জনই এ ভাষা শিক্ষা করবেন। (খ) পূর্ব পাকিস্তানে উর্দু হবে দ্বিতীয় ভাষা বা আন্তঃপ্রাদেশিক ভাষা। যারা পাকিস্তানের অন্যান্য অংশে চাকরি ইত্যাদি কাজে নিযুক্ত হবেন শুধু তারাই এ ভাষা শিক্ষা করবেন। এই ভাষা পূর্ব পাকিস্তানের শতকরা ৫ হতে ১০ জন শিক্ষা করলেও চলবে। মাধ্যমিক স্কুলের উচ্চতর শ্রেণিতে এই ভাষাকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে শিক্ষা দেয়া হবে। (গ) ইংরেজি হবে পাকিস্তানের তৃতীয় ভাষা বা আন্তর্জাতিক ভাষা। পাকিস্তানের কর্মচারী হিসেবে যারা পৃথিবীর অন্যান্য দেশে চাকরি করবেন বা যারা উচ্চতর বিজ্ঞান শিক্ষায় নিয়োজিত হবেন তারাই শুধু ইংরেজি শিক্ষা করবেন। তাদের সংখ্যা পূর্ব পাকিস্তানে হাজার, করা একজনের চেয়ে কখনও বেশি হবে না। ঠিক এই নীতি হিসেবে পশ্চিম পাকিস্তানের প্রদেশগুলোতে (স্থানীয় ভাষার দাবি না উঠলে) উর্দু প্রথম ভাষা, বাংলা দ্বিতীয় ভাষা আর ইংরেজি তৃতীয় ভাষার স্থান অধিকার করবে। ৪. শাসন কাজ ও বিজ্ঞান শিক্ষার সুবিধার জন্য আপাতত কয়েক বছরের জন্য ইংরেজি ও বাংলা দুই ভাষাতেই পূর্ব পাকিস্তানের শাসন কাজ চলবে। ইতিমধ্যে প্রয়োজনানুযায়ী বাংলা ভাষায় সংস্কার করতে হবে।
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের বাংলাভাষা বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ফজলুর রহমান কর্তৃক বাংলাভাষা ও বাংলালিপি সম্পর্কে দায়িত্বজ্ঞানহীন অশালীন উক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের উদ্দেশ্যে তমদ্দুন মজলিশের নেতৃত্বে ১৯৪৭ সালের ১ অক্টোবর প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। এ পরিষদের আহবায়ক নির্বাচিত হন মজলিশ নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এএসএম নূরুল হক ভূইয়া এবং কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন তমদ্দুন মজলিশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবুল কাশেম। ভাষা আন্দোলনের সূচনাপর্বে আবুল কাশেম ছিলেন আন্দোলনের মধ্যমনি। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবির সপক্ষে যুবসমাজ এবং বিশেষত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্রদের সমর্থন লাভে তাঁর সাফল্য ছিল অভাবনীয়। এভাবেই প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের মাধ্যমে রূপলাভ করে একটি সাংগঠনিক কাঠামো, আর এরই মাধ্যমে ১৯৪৭ সালের শেষের দিকে এবং ১৯৪৮ সালের প্রথম দিকের মাসগুলোতে সংগঠিত হয় ভাষা আন্দোলন। করাচিতে অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল এডুকেশন কনফারেন্সে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার একতরফা সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে ১৯৪৭ সালের ৬ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে প্রথম প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৪৮ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে তমদ্দুন মজলিশ কর্মী এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্মীদের যৌথসভায় মজলিশ কর্মী শামসুল আলমকে আহবায়ক করে ‘সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা কর্ম পরিষদ’ নামে একটি নতুন কমিটি গঠিত হয়।
বাংলা ভাষার আন্দোলনে তমদ্দুন মজলিশের অবস্থান ছিল পূর্ববাংলায় জনসাধারণের আকাঙ্খারই প্রতিফলন। তমদ্দুন মজলিশ ব্যাপক সাড়া পেয়েছে দেশের ইসলাম ভাবাপন্ন বিশিষ্ট মহল থেকে, বিশেষত ছাত্র ও শিক্ষক, সাংবাদিক, লেখক ও সংস্কৃতিসেবীদের কাছ থেকে। তদুপরি ভাষা আন্দোলনে তমদ্দুন মজলিশের পথিকৃতের ভূমিকা এ সংগঠনের জন্য এনে দিয়েছে উদার ও মুক্তবুদ্ধির বিশিষ্ট জনগোষ্ঠীর মৌন সমর্থন, যদিও তারা ঐ আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন না যে আদর্শের উপর ভিত্তি করে তমদ্দুন মজলিশ গড়ে উঠেছিল। এখানেই তমদ্দুন মজলিশের বিরাট সাফল্য যে, এই সংগঠন অত্যন্ত সফলভাবে দীর্ঘ পাঁচ বছর ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং সামাজিক প্রত্যয় ও রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে দেশের সকল জনগোষ্ঠীকে এর সাথে সম্পৃক্ত করে ভাষা আন্দোলনকে একটি জাতীয় ইস্যুতে পরিণত করেছে।
ভাষা আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখনই তমদ্দুন মজলিশের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতা কর্মীরা সরকারের চরম নিগ্রহের শিকার হন। তাদের গ্রেফতার ও কারারুদ্ধ করা হয়। পুলিশ হামলা চালিয়ে মজলিশের কেন্দ্রীয় দফতর এবং সাপ্তাহিক সৈনিক পত্রিকার অফিস তছনছ করে। সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক কাজী গোলাম মাহবুব গ্রেফতার হন। মজলিশের প্রথম কাতারের নেতা দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ, প্রফেসর আবুল কাশেম, আবদুল গফুর প্রমুখ নিরাপত্তার জন্য মফঃস্বল এলাকায় গিয়ে আশ্রয় নেন।
তমদ্দুন মজলিশ এখনো ঢাকায় এর সুদীর্ঘ সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রেখেছে। ১৯৯১ সালে প্রিন্সিপাল আবুল কাশেমের মৃত্যুর পর আবদুল গফুর মজলিশের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। প্রায় আজীবন সভাপতি দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ ১৯৯৯ সালে তাঁর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত এই সংগঠনের নেতৃত্ব দেন। [মুয়ায্যম হুসায়ন খান]


Monday, May 30, 2016

মুজিবনগর সরকার



মুজিবনগর সরকার  মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত বাংলাদেশের প্রথম সরকার। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর ১০ এপ্রিল এ সরকার গঠিত হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে বৈদ্যনাথতলা গ্রামের নামকরণ হয় মুজিবনগর। মুজিবনগর সরকারের কর্মকান্ড বাংলাদেশ ভূখন্ডের বাইরে থেকে পরিচালিত হয়েছিল বলে এ সরকার প্রবাসী মুজিবনগর সরকার হিসেবেও খ্যাত।
সরকার গঠন ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড তথা প্রধান নেতৃবৃন্দকে নিয়ে একটি সরকার গঠিত হয়। ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের মুক্তাঞ্চল বৈদ্যনাথতলায় সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আবদুল মান্নান এম.এন.এ এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক ইউসুফ আলী এম.এন.এ। নবগঠিত সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে এখানে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন  ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল সরকার গঠন এবং ১৭ এপ্রিল সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও মন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন হয় ১৮ এপ্রিল। এদিন সরকারের কাঠামো ছিল নিম্নরূপ:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
রাষ্ট্রপতি
সৈয়দ নজরুল ইসলাম
উপরাষ্ট্রপতি (রাষ্ট্রপতি পাকিস্তানে অন্তরীণ থাকার কারণে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা, দায়িত্ব কর্তব্য পালনের দায়িত্বপ্রাপ্ত)
তাজউদ্দীন আহমদ
প্রধানমন্ত্রীএবং প্রতিরক্ষা, তথ্য, সম্প্রচার যোগাযোগ, অর্থনৈতিক বিষয়াবলি, পরিকল্পনা বিভাগ, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, স্বাস্থ্য, শ্রম, সমাজকল্যাণ, সংস্থাপন এবং অন্যান্য যেসব বিষয় কারও ওপর ন্যস্ত হয়নি তার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী
খন্দকার মোশতাক আহমদ
মন্ত্রী, পররাষ্ট্র, আইন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়
এম মনসুর আলী
মন্ত্রী, অর্থ, শিল্প বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
এইচ এম কামরুজ্জামান
মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র, সরবরাহ, ত্রাণ পুনর্বাসন এবং কৃষি মন্ত্রণালয়
মুজিবনগর সরকারকে ১৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ভাগ করা হয়। এছাড়া কয়েকটি বিভাগ মন্ত্রিপরিষদের কর্তৃত্বাধীনে থাকে।

 আমাদের জন্য এই সরকার গঠন ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং যুদ্ধের উপরে এর প্রভাব ছিল সুদুর প্রসারী জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়েই এটা ছিল বৈধ সরকার ফলে বাংলাদেশের জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে যে কোন ধরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার আইনানুগ ক্ষমতাও ছিল তাদের মুজিবনগর সরকার গঠিত না হলে জনগণ যতই প্রশংসা করুক না কেন আমরা আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী অথবা বিদ্রোহী হয়ে পড়তাম

Monday, May 23, 2016

বাংলা নামের উৎপত্তি কি ভাবে হয়েছিল?

ধর্মগ্রন্থ আল-কুরআন অনুযায়ী সৃষ্টির আদিতে মানবকূল ছিল একই গোষ্ঠীভূক্ত (আল-কুরআন-২ঃ২১৩)। সময়ের প্রেক্ষাপটে জনসংখ্যা বেড়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী ও জাতিতে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তৌরাত ও আল-কুরআন-এর বর্ণনা অনুযায়ী, হযরত নূহ (আঃ) মহাপ্লাবনের পূর্বে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসীদের নিয়ে বজরায় আরোহণ করেন। এর বাইরে থাকা পৃথিবীর সকল স্থলজ প্রাণী মৃত্যুবরণ করে। প্লাবনের পর হযরত নূহ (আঃ)-এর নির্দেশে তাঁর অনুসারীরা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেন। যে সব অঞ্চলে তাঁরা বসতি স্থাপন করেন, তাদের নামানুসারেই সেসব অঞ্চলের নামকরণ করা হয়।   এভাবেই পৃথিবীতে দ্বিতীয় দফায় মানব জাতির বিস্তার ঘটে এবং অনুমান করা হয় যে, আধুনিক বিশ্বের মানব গোষ্টী তাদেরই বংশধর। সে অনুসারে হযরত নূহ (আঃ)-কে দ্বিতীয় আদম বলা হয়। হযরত নূহ (আঃ)-এর এক পুত্রের নাম ছিল হাম এবং হামের পুত্রের নাম হিন্দ। হিন্দের দ্বিতীয় পুত্রের নাম বং। ঐতিহাসিকরা দবী করেন- ‘বং’ এবং তাঁর সন্তানেরা এই অঞ্চলে (বর্তমান দুই বাংলা) বসতি স্থাপন করায় এই অঞ্চল ‘বঙ্গ’ নামে পরিচিতি লাভ করে।

মুগল ঐতিহাসিক আবুল ফজল বাঙ্গালাহ নামের উৎপত্তি সম্পর্কে ব্যাখ্যা প্রদান করেন এভাবে যে,
বাঙ্গালাহর প্রাচীন নাম ছিল বঙ। এর পূর্বেকার শাসকগণ সমগ্র প্রদেশে পাশে ২০ গজ এবং উচ্চতায় ১০ গজ উঁচু বাঁধ নির্মাণ করেন। এগুলিকে ‘আল’ বলা হতো। বঙ-এর সাথে আল যুক্ত হয়ে দেশটির বাঙ্গালাহ নামের উৎপত্তি হয় এবং তা ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করে। কেউ হয়ত আবুল ফজলের ব্যাখ্যার সাথে একমত নাও হতে পারেন, তবে এটা পরিষ্কার যে, তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, বাঙ্গালাহ ‘বঙ’ অর্থাৎ প্রাক-মুসলিম যুগের ‘বঙ্গ’ থেকে উৎপত্তি হয়েছে।

শাব্দিক বিশ্লেষণ হচ্ছে বঙ্গ + আল = বঙ্গাল / বংগাল ,পরে শব্দটি বংগাল থেকে বাংলা রূপ ধারণ করে ।

এভাবেই প্রথমে বং/বঙ থেকে বঙ্গাল / বংগাল থেকে বাংলা নামের উৎপত্তি হয়।

Monday, March 28, 2016

শুধু ক্লিক করে মাসে ৫-১০ হাজার টাকা ইনকাম করুন

আমরা সবাই হয়ত কম বেশি  অনলাইন আর্নিং সম্পকে জানি। কিন্তু সঠিক পদ্ধতি অনেকেই যানি না। আজ আপনাদের সাথে সবচেয়ে সহজ দুটি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব। যা কিনা সবাই শুধু মাত্র ইচ্ছা করলেই কাজ করতে পারবেন তেমন কোন কাজ শিখতে হবে না এই পোষ্টাই মনোযোগ সহকারে পড়লেই হবে ইনশাআল্লাহ।
Ayuwage & Innocurrent.  এই দুইটি সাইট  খুব ভাল অনলাইন আর্নিং এর জন্য।এই দুইটি সাইট ২০০৯ সাল থেকে কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই পেমেন্ট দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই দুইটি সাইট অন্য পিটিসি সাইট এর মত না। কিছুটা ভিন্ন ধরনের, এখানে ক্লিক করার নিয়ম কিছুটা আলাদা। ইনকাম করার নিয়ম আলাদা।
একটি কথা মনে রাখবেন। এই সাইট  দুইটিতে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলার সাথে  সাথে প্রচুর অ্যাড থাকে না। অ্যাড পেতে কিছু সময় পর পর অ্যাড পেজ রিফ্রেশ করতে হবে।এই ভাবে ১০-১৫ দিন যাবার পর আপনি দেখতে পাবেন অ্যাড এর পরিমান বেড়ে গেছে।আপনার অ্যাকাউন্ট এর বয়স যত বেশি হবে অ্যাড তত বেশি পাবেন।যেহেতু অ্যাকাউন্ট খুলার সাথে সাথে প্রচুর অ্যাড থাকে না তাই অনেকেই কিছু দিন কাজ করে কাজ করা বাদ দিয়ে দেয়।ভুলেও এই কাজ করবেন না, কারন কিছু দিন পর থেকেই আপনি প্রচুর অ্যাড পেতে থাকবেন।
অন্য PTC  সাইট থেকে এই  দুই সাইট এর প্রধান পার্থক্য হচ্ছে ফ্রেম ব্রেকার। মানে আমারা যখন অন্য যে কোন PTC  সাইট এ অ্যাড দেখি তখন উপরের দিকে টাইমার চালু থাকে।নিছের ছবির মত। মানে হল উপরের দিকে ৫ সেকেন্ড/১০ সেকেন্ড/৩০ সেকেন্ড ইত্যাদি । সময় থাকে। ঐ সময় আমাদের একটি ক্যাপচা সলভ করতে হয়। যেমন CLIXSENSE  এ কোনটি বিড়াল টা বের করতে হয়। ঐ সময় শেষ হবার পর অ্যাড ভেলিডেট হয়। তখন আমারা এই ট্যাব কেটে দিয়ে আরেকটি অ্যাড দেখি। কিন্তু AYUWAGE & INNOCURRENT  এ এরকম কোন ফ্রেম ব্রেকার থাকে না।
কিন্তু Ayuwage & innocurrent  এ এই ধরনের কোন ফ্রেম ব্রেকার না থাকলেও একটি হিডেন সফটওয়্যার থাকে। যার দ্বারা ওরা আপনি অ্যাডটি  ঠিক মত দেখেছেন কিনা তা যাচাই করে। আপনি ওদের  Instruction  ঠিক মত ফলো না করলে ওরা আপনার অ্যাকাউন্ট  suspend  করে দিবে। যেহেতু এখানে কোন টাইমার থাকে না  তাই অনেকেই ২/৩ সেকেন্ড পড়েই অ্যাড টি কেটে দেয়। ফলাফল স্বরূপ অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড।
Ayuwage & innocurrent এ ইনকাম করার ৪ ধরনের অ্যাড + আরও ১০ ধরনের ওয়ে আছে। এই কারনেই শুরুতেই বলেছিলাম যে এই দুই সাইট থেকে  মাসে  ৫-১০ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়। কিন্তু সমস্যা একটাই, তা হল প্রত্যেক টি অ্যাড  দেখার নিয়ম আছে। আপনি যদি নিয়ম না মেনে অ্যাড দেখেন তবে অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড। সমস্যা নাই আমি সব গুল নিয়ম বলে দিব। কিন্তু ভুলেও নিয়ম ভাঙ্গার চেষ্টা করবেনা।প্রথমে আমি কিভাবে সাইন আপ করবেন সেইটা দেখাচ্ছি।পরের অংশে দেখাব কিভাবে নিয়ম মেনে ইনকাম করতে হয়।
                  Ayuwage (Signup process)
Make money online/ Online earning from Ayuwage
তার পর জয়েন / সাইন আপ করার জন্য    JOIN AYUWAGE এ ক্লিক করুন। এটি পাবেন  ১ম মেনু তে।আগের মতই Payment অংশে যে ইমেইল দিয়ে পায়যা অ্যাকাউন্ট  খুলবেন সেই ইমেইল দিন। ইউজার নাম দিন। পাসওয়ার্ড দিন। ইমেইল এ গিয়ে ইমেইল ভেলিডেট করুন
   Innocurrent (Signup process)
Make Money Online /Online earning from Innocurrent
তারপর জয়েন / সাইন আপ করার জন্য লেফট  সাইট মেনু থেকে ৪নং  Register বাটন এ ক্লিক করে আগের মত সাইন আপ করুন।


Ayuwage &  Innocurrent এ কিভাবে নিয়ম মেনে ইনকাম  করবেন
                        অ্যাড দেখার নিয়ম
Ayuwage এ লগইন কারার জন্য উপরের মেনু থেকে লাস্ট বাটন Member login  বাটন এ ক্লিক করুন। আর  Innocurrent এ লগইন কারার জন্য লেফট সাইট মেনু থেকে  পাচ নং মেনু Login  মেনু তে ক্লিক করুন। Innocurrent  এর মেনু বাম সাইট এ থাকে। কারসার যে কোন বাটন এর উপর নিলে কোনটি  কি বাটন তা দেখায়।
অ্যাকাউন্ট এ লগইন করার পর আর্ন করার জন্য  উপরের মেনু থেকে  Start Earning  এ ক্লিক করুন। Start Earning  বাটনটি মেনুর প্রথমেই পাবেন। আর  Innocurrent এ আর্ন করার জন্য লেফট সাইড মেনু থেকে দুই নং মেনুতে ক্লিক করতে হবে। দুই নং মেনু দেখতে মাউস এর মত। দুই সাইট এই আর্ন করার জন্য ১০/১২ টার মত পদ্ভতি আছে। দুই সাইট এই আর্ন করার নিয়ম একই। আমি  নিচে সব গুল নিয়ম বলতেছি। ভুলেও নিয়ম এর বাইরে কাজ করবেন না। নিয়ম এর বাইরে কাজ করলে অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড।নিচের ছবি গুল দেখেন।


যেহেতু দুইটি সাইট এর মালিক একই তাই আর্ন করার নিয়ম ও দুই সাইট এ একই। তাই আমি আর আলদা করে দুইটি নিয়ে আলোচনা করবনা।
                        VIEW LINK
view লিঙ্কে  ক্লিক করলে দুই ধরনের অ্যাড দেখতে পাবেন।
1) Browse Passive Site : বা পাশে থাকে। অ্যাড এ  ক্লিক করার পর প্রথমে একটি পাতা অন্য একটি ট্যাব এ ওপেন হবে। ঐ পাতায় প্রথমে অ্যাড টাইটেল এবং একটু নিচে কিভাবে অ্যাড টি দেখতে হবে তার নিয়ম দেয়া আছে। আপনি নিয়ম পড়ে রাজি থাকলে Continue to Website  এ ক্লিক করবেন। ঐখানে দেয়া আছে তার পড়েও আমি আবার বাংলায় নিয়ম বলে দিচ্ছি। Continue To website  এ ক্লিক করার পর পেজটি রিডাইরেক্ট হয়ে অ্যাড এর পেজ এ চলে যাবে। আপনাকে এই  অ্যাডটি / অ্যাডের পেজে ২০ সেকেন্ড থাকতে হবে।ভুলেও এই সময় আনুমানিক ২০ সেকেন্ড এর আগে পেজ টি কেটে দিবেন না অথবা অন্য ট্যাব  যাবেন না। নিয়ম ৩ বার না মানলে অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড।
2) Browse view Site : ডান পাশে থাকে। আগের মতই অ্যাড এ ক্লিক করার পর অন্য ট্যাব এ ওপেন হবে।নিয়ম পড়ে রাজি থাকলে Continue to website  এ ক্লিক করে অ্যাড এর পেজে যাবেন। এইবার নিয়ম হচ্ছে আপনাকে অ্যাড পেজটি পুরাপুরি লোড হতে দিতে হবে। যদি ৩ সেকেন্ড এ লোড হয় আপনি ৩ সেকেন্ড পড়ে পেজ কেটে দিলেও সমস্যা নাই।। যাদের লাইন স্লো তাদের যতই সময় লাগুক লোড হবার আগে কেটে দিলে/৩ বার নিয়ম না মানলে সাসপেন্ড।


    REGULAR ( AYUWAGE) STANDARD      
             (INNOCURRENT)LINK

Ayuwage এর ক্ষেত্রে নাম  Regular আর  Innocurrent এর ক্ষেত্রে নাম  Standard । দুইটি একই নিয়ম।শুধু নাম আলদা। এখন Regular অথবা  Standard  লিঙ্ক এ ক্লিক করলেও দুই ধরনের অ্যাড পাবেন।
1) Browse Focused Site/ Focused site overview : আগের মতই অ্যাড এ ক্লিক করে অ্যাড এর পেজে যাবার পর আপনাকে পেজটিতে ১০ সেকেন্ড থাকতে হবে + অবশ্যই আপনাকে অ্যাড এর পেজ থেকে যেকোন একটি অ্যাড এ ক্লিক করতে হবে।মানে হল আমরা যখন বিভিন্ন ওয়েবপেজ ব্রাউস  করি তখন পেজে অনেক অ্যাড থাকে। যেমন গুগল অ্যাডসেন্স এর অ্যাড বা বিভিন্ন  কম্পানির ব্যানার অ্যাড বা অন্য ধরনের অ্যাড থাকে।আপনাকে ঐ পেজ থেকে যেকোন অ্যাড এ ক্লিক করতে হবে। view link  এর অ্যাড এর থেকে  Regular/Standard  অ্যাড এর ভ্যালু/ ইনকাম ৩/৪ গুন বেশি।সময়ও ১০ সেকেন্ড কম। কিন্তু সমস্যা একটাই আপনাকে মনে করে অবশ্যই যে অ্যাডটি দেখছেন সেই অ্যাড এর পেজ এর যেকোন অ্যাড এ ক্লিক করতে হবে।
2) Browse Standard Site / Standard Site Overview :আগের মতই অ্যাড এ ক্লিক করে অ্যাড এর পেজে যাবার পর আপনাকে পেজটিতে ১০ সেকেন্ড থাকতে হবে + অবশ্যই আপনাকে অ্যাড এর পেজ থেকে যেকোন একটি অ্যাড এ ক্লিক করতে হবে অথবা পেজ এর যেকোন লিঙ্ক/ব্যানার/পিকচার/ কনটেন্ট এ ক্লিক করলেই হবে। মানে আগের মত শুধু অ্যাড এ ক্লিক না করলেও চলবে ।মানে আপনি যদি পেজ এর মেনুতে ক্লিক করেন তাতেও চলবে। ধরেন আপনি পেজ এর Contact link এ ক্লিক করলেন তাতেও চলবে। অ্যাড এর ইনকাম ভিও লিঙ্ক থেকে ৩/৪ গুন বেশি।
ভিডিও লিঙ্ক :   ভিডিও তে দেখে নিন কিভাবে কাজ করতে হবে :     https://www.youtube.com/watch?v=sBHk0o-8qGE


                           Explore

১মে অ্যাড টিতে ক্লিক করুন। Continue To website এ ক্লিক করে অ্যাড পেজে জান। যে পেজে গেলেন সে পেজ এর URL link  কপি করুন। কপি করে পেজ না কেটে আপনি  Ayuwage / Innocurrent  পেজে আবার ফিরে এসে  URL address link  টি  Paste  করুন। এখন আবার অ্যাড পেজে গিয়ে  ঐ পেজ এর যেকোন  লিঙ্ক এ ক্লিক করুন।খেয়াল রাখবেন যে অ্যাড পেজ এ আছেন সে পেজ এরই কোন লিঙ্ক এ ক্লিক করতে হবে।এখন যে পেজে আছেন সেই পেজ এর URL LINK  আবার কপি করে পেজ না কেটে আপনি  Ayuwage / Innocurrent  পেজে আবার ফিরে এসে  URL address link  টি  Past  করুন। এখন আবার অ্যাড পেজে গিয়ে যেকোন অ্যাড এ ক্লিক করুন। মনে রাখবেন এই বার আপনাকে অ্যাড এ ক্লিক করতে হবে। অ্যাড এ ক্লিক করার পর যে পেজে যাবেন সেই পেজ এর URL link  কপি করুন। কপি করে পেজ না কেটে আপনি  Ayuwage / Innocurrent  পেজে আবার ফিরে এসে  URL address link  টি  Paste  করুন।সাবমিট করুন। জানি না কতটুকু বুঝাতে পারলাম। মাঝেমাঝে অনেক কিছু বাংলা থেকে ইংলিশ এ ভালভাবে বুঝা যায়। নিয়মটি Ayuwage & Innocurrent  থেকে আবার ভাল ভাবে পড়ে নিন। অ্যাড এ ক্লিক করার পর Explore পেজটি Redirect  হয়ে নিচের ছবির মত  বক্স টি আসবে। যেখানে আপনাকে লিঙ্ক তিনটি সাবমিট  করতে হবে।কিন্তু প্রবলেম হল মাঝেমাঝে Explore পেজটি  Redirect হয়না। সাধারণত ১০ সেকেন্ড এর মধ্যে Redirect হওয়ার কথা। Redirect না হলে অন্য ধরনের অ্যাড দেখেন।এই অ্যাড নিয়ে বার বার চেষ্টা করার দরকার নাই। কারন তিন বার ভুল হলে অ্যাকাউন্ট  সাসপেন্ড।

                            Email

অ্যাড এ ক্লিক করলে আপনার ইমেইল এ অ্যাডটি চলে যাবে।মানে যে ইমেইল দিয়ে সাইন আপ করছিলেন সেই ইমেইল এ।যদি অ্যাডটি Spam ফোল্ডার এ যায় তবে আপনাকে  promo@ayuwage.com  or promo@innocurrent  গিয়ে ইমেইল কে whitelist  এ নিতে হবে অথবা আপনি যদি চান spam থেকেই ক্লিক করবেন তা আপনার ইচ্ছা। অ্যাড এ ক্লিক  করার পর আপনাকে ওয়েবসাইট এ ১০ সেকেন্ড থাকতে হবে অ্যান্ড যেকোন একটি অ্যাড/ কনটেন্ট এ ক্লিক করতে হবে।
                            Search

এক্ষেত্রে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সার্চ ইঞ্জিন এ  গিয়ে একটি নির্দিষ্ট লেখা লিখে সার্চ করতে হবে।বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গুগল অ্যান্ড বিং এই দুই সার্চ ইঙ্গিন ই থাকে। যাই হোক  নিদিষ্ট লেখাটি লিখে  সার্চ দেবার পর আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট খুজে বের করতে হবে। ওয়েবসাইটি ১-৫ তম পাতার মধ্যে থাকবে। সার্চ করে ওয়েব পেজ টি পেয়ে গেলে ঐ ওয়েবসাইট এ গিয়ে আপনাকে ১০ সেকেন্ড থাকতে হব��� এবং যেকোন একটি  কনটেন্ট এ ক্লিক করতে হবে।তারপর আপনাকে আবার  Ayuwage/ Innnocurrent এ এসে Done baton  এ ক্লিক করলে আপনার অ্যাকাউন্ট এ ক্রেডিট যোগ হয়ে যাবে।
                             Special

এই ধরনের অ্যাড এই অঞ্চলে কম পাওয়া যায় বা পাওয়া যায় না বলেই চলে।এই অ্যাড গুলোর ভ্যালু খুব বেশি  ৪০০ ক্রেডিট পর্যন্ত। আপনি যদি আমেরিকায় থাকেন তবে এই দুই সাইট থেকে মাসে ৪০০-৫০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব। যাই হোক... যদি এই অ্যাড পেয়েই যান কিভাবে ইনকাম করবেন বলে দিচ্ছি। প্রথমে আপনাকে অ্যাড এ ক্লিক করে অ্যাড এর পেজে যেতে হবে। ঐ পেজে গিয়ে আপনাকে  News letter এ আপনাকে  Subscribe  করতে হবে। মানে আপনাকে আপনার নাম অ্যান্ড ইমেইল দিয়ে আপনাকে সাবস্ক্রাইব করতে হবে । তারপর আপনাকে আবার Ayuwage/ Innocurrent  পেজে এসে আপনি যে নাম + ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করেছেন সেই ইমেইল একটি বক্স এ সাবমিট করতে হবে।++ আপনি যে subscribe  করেছেন তার প্রমান স্বরূপ আপনাকে  screen শট নিতে  হবে। তারপর ওরা আপনাকে ঐ বক্স এ একটি লিঙ্ক দিবে। ঐ লিঙ্ক এ ক্লিক  করে আপনাকে আপনার স্ক্রিন শটটি আপলোড করে ঐ লিঙ্ক কপি করে এনে  বক্স এ সাবমিট করতে হবে। ওরা সব কিছু ঠিক থাকলে সাধারণত ১৫ মিনিট পর আপনার অ্যাকাউন্ট এ ক্রেডিট যোগ করে দিবে। কিভাবে স্ক্রিন শট নিবেন : Ctrl + PrntScr   চাপুন ( PrntScr  keyboard  এর উপরের দিকে ডান সাইডে পাবেন )  paint open করে paste  করুন।

ভিডিও লিঙ্ক : ভিডিও তে দেখে নিন কিভাবে সার্চ ও স্পেশাল সাইট এ কাজ করতে হবে :
https://www.youtube.com/watch?v=mjcs3LR9M3M

                            Radio

নাম  শুনেই বুঝতে পারছেন।হ্যা অনলাইন রেডিও, আপনাকে অনলাইন রেডিও শুনতে হবে,রেডিও ইনকাম খুব কম, ১০ মিনিট শুনলে মাত্র ৩ ক্রেডিট। ৩০ মিনিট শুনলে ৩০ ক্রেডিট।অনেকেই যারা ব্রডব্যান্ড ব্যাবহার করেন তারা  রেডিও চালু করে চলে যান।কিন্তু এতে ইনকাম হবে না অথবা একটি ওয়ার্নিং পেতে পারেন।কারন আপনাকে ১০ মিনিট পর পর ওরা আপনাকে একটি Captcha  দিয়ে সল্ভ করতে  বলবে। তার মানে আপনাকে রেডিও না শুনলেও ১০ মিনিট পর পর লক্ষ রাখতে হবে।আর রেডিও ওপেন করলে অনেক গুল স্টেশন পাবেন। ধরেন আপনি ৮ মিনিট শুনে একটি স্টেশন চেঞ্জ করলেন তাহলে আপনি কোন ক্রেডিট পাবেন না।কারন যে সময় স্টেশন চেঞ্জ করবেন সেই সময় থেকে ১০ মিনিট কাউন্ট করবে।
                        survey

survey নাম  শুনেই বুজতে পারছেন কি করতে হবে, কিন্তু হতাশার ব্যাপার হচ্ছে আমাদের এইদিকে সার্ভে থাকেনা বললেই চলে।
Rewards( শুধু  ayuwage এ )
এখানে আপনি আবার ৪-৫ ধরনের আর্ন করার ওয়ে পাবেন। এখানে আপনি মাঝেমাঝে একটি কাজ কমপ্লিট করে ৪০০০-৫০০০ ক্রেডিট আর্ন করতে পারবেন। তাই অবশ্যই চেস্টা করবেন। কারন চিন্তা করুন একবার কাজ  কমপ্লিট করতে পারলে একবারে  ৪০০০-৫০০০ ক্রেডিট। 
ভিডিও লিঙ্ক : ভিডিও তে দেখেন নিন কিভাবে রিওয়ার্ড সাইট এ কাজ করতে হবে : 

                             LIVE

এখানে আপনি দুই ধরনের অ্যাড পাবেন
1) Browse Live site / Live Site overview :  এই ধরনের  অ্যাড এক ঘণ্টা surf  করলে ৫০ ক্রেডিট পাবেন
2) Browse  Interactive site / Interactive Site overview : এই ধরনের অ্যাড সার্ফ করলে ২৫০ ক্রেডিট পাবেন কিন্তু এই অ্যাড শুধু সার্ফ করলেই হবে না সাথে সাথে আপনাকে প্রত্যেক টি পেজ এর যে কোন একটি  কনটেন্ট এ ক্লিক করতে হবে।
ভিডিও লিঙ্ক : ভিডিও তে দেখেন নিন কিভাবে লাইভ সাইট এ কাজ করতে হবে : 
https://www.youtube.com/watch?v=aS9dW8qFtd8

                 Withdraw
কিভাবে  টাকা  Withdraw  করবেন
যখন আপনার ১০০০০ হাজার ক্রেডিট হয়ে যাবে তখন আপনি টাকা  withdraw  করতে পারবেন। ১০ হাজার ক্রেডিট = ৫ ডলার। withdraw করার জন্য  reward মেনু তে ক্লিক করুন। Reward  মেনু আপনি  ayuwage  এ  main  মেনু তে  পাবেন।  innocurrent  এ লেফট সাইড মেইন মেনুতে পাবেন  Reward  মেনু। এখানে অনেক গুল অপশন আছে আপনার টাকা ব্যাবহার করার জন্য। আপনি সব অপশন বাদ দিয়ে পায়যা অপশন এ গিয়ে অথবা আপনার যদি ভেরিফাইড পেপাল থাকে সেক্ষেত্রে পেপাল সিলেক্ট করে Purchase item  এ ক্লিক করুন। তার যদি আপনার ইমেইল ভেরিফাই করতে বলে সেক্ষেত্রে ওরা আপনার এমাইলে এ একটি লিঙ্ক পাঠাবে । সেই লিঙ্কে ক্লিক করে ইমেইল ভেরিফাই করুন। তার পর পেয়যা  Purchase  এ ক্লিক করুন.১০-১৫ দিনের মধ্যে আপনার টাকা আপনার অ্যাকাউন্ট  এ চলে আসবে।



ভিডিও লিঙ্ক : ভিডিও তে দেখেন নিন কিভাবে টাকা তুলবেন:

                 ওয়ার্নিং
আপনি যদি নিয়ম মত ক্লিক না করেন অথবা নিজের অজান্তে কোন ভুল হয়ে থাকে তবে ওরা আপনাকে ১টি করে ওয়ার্নিং দিবে। যদি আপনি ৩ টি ওয়ার্নিং খান তবে আপনার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড। আপনি কোন ওয়ার্নিং পেয়েছেন কিনা তা আপনি  Start earning  বাটন এ ক্লিক করলেই উপরের দিকেই দেখতে পাবেন। যদি দেখেন ১ টি ওয়ার্নিং পেয়েছেন তবে সাথে সাথে  ২৪ ঘন্টার জন্য ক্লিক করা বন্ধ করে দিন । কারন ২৪-৪৮ ঘণ্টা পর ওয়ার্নিং চলে যায়। তখন আবার আপনি ২ বার ওয়ার্নিং খেলেও অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হবে না। আর সব সময় চেষ্টা করবেন যেন কোন ওয়ার্নিং না আসে।
দৈনিক ১-৫ ডলার ইনকামের ফরমুলা
আমি শুরুতেই বলেছিলাম  ১-৫ ডলার ইনকাম  করা যায়। এখন দেখাচ্ছি  কিভাবে?
১) ধরুন আপনি সকাল ৭ টায়  আপনার কম্পিউটার  অন করে লগইন  করলেন। আপনি দেখতে পাবেন  view /Regular /Standard  অংশে হয়তবা ৪ টি অপশনে সর্বমোট ১৫ টি অ্যাড আছে। সব গুল ক্লিক করুন। বাকি ৮-৯ অপশন গুলু ঘুরে আসুন।অন্য অপশন এর কাজ গুল করুন। সব কাজ করতে হয়তবা আপনার ২০-৩০ মিনিট সময় লাগবে। মানে সব  কাজ করতে হয় তাবা আপনার ৩০ মিনিট সময় লাগল।
২) আবার সকাল ৮ টায় অ্যাকাউন্ট এ লগইন করে দেখুন আবার একই পরিমান অ্যাড দেখতে পাবেন।
৩) আবার ৯টায় লগিন করে দেখুন আবার একই পরিমান অ্যাড পাবেন।
৪) আস্তে আস্তে হয়ত অন্য অপশন গুল মানে (  Email/ Explore/ Search/ Radio/Survey /Reward/ live )  এই গুলতে দুই তিন বার দেখার পর অ্যাড থাকবে না। কিন্তু View/ Regular/Standard  এই অ্যাড গুল ২৪  ঘন্টা থাকে। আপনি ৩ মি্নিট পর পর View/ Regular/Standard পেজ রিফ্রেশ করলে নতুন নতুন অ্যাড পাবেন। মাঝে মাঝে ২৪ ঘণ্টায় ৪০০০ হাজার পর্যন্ত অ্যাড থাকে।
একটি কথা মনে রাখবেন এই দুই সাইট কখনই এক সাথে সব অ্যাড দেয়  না। আস্তে আস্তে অ্যাড গুল ছাড়ে। তাই যত বেশি কম্পিউটার এর সামনে থাকতে পারবেন+ অ্যাড পেজ রিফ্রেশ করবেন তত বেশি অ্যাড দেখতে পাবেন।
আরেকটি জিনিস মনে রাখবেন মাঝে মাঝে এই দুই সাইট এর অ্যাড খুব কমে যায়। মানে সারা দিনে মাত্র ২০-৩০ টা অ্যাড থাকে।   এর কারন হচ্ছে এই দুই সাইট এ যারা অ্যাড দেয়  মানে অ্যাডভারটাইজার  মাঝে মাঝে এশিয়া/ আফ্রিকা এই অঞ্চলে অ্যাড  Restriction  করে দেয়। মানে  Ayuwage / innocurrent  এর মালিক কে বলে দেয় সে শুধু আমেরিকা/ কানাডার ভিজিটর চায়। সেক্ষেত্রে এই অঞ্চলে অ্যাড কমে যায়। কিন্তু চিন্তার কিছু নেই দেখা যায় এ রকম সমস্যা কিছু দিন থাকে। দেখা যায় ১ মাস পড়ে আবার প্রচুর অ্যাড আসতে থাকে। কারন সব অ্যাডভারটাইজার এলাকা টার্গেট করে অ্যাড দেয় না
সমস্যা : ভুলেও এই দুই সাইট থেকে Rented Referral কিনবেন না। কারন এরা ৯৯%  Inactive Rented Referral  বিক্রি করে
সুযোগ :  আপনি যেনে অবাক হবেন যে Innocurrent  এ রেফেরাল ইনকাম ১২০%। তাই  চেষ্টা করুন কিছু  Innocurrent Referral   যোগার করার জন্য।
                            সর্তকতা
১। অ্যাড সাইট গুলো ভিজিট করার সময় যতটুকু সময় সাইটে থাকতে বলবে ততটুকু সময় ই থাকবেন/ Instructions এ জেভাবে কাজ করতে বলেছে সেই ভাবে করবেন ৩বার টানা না করলে ওরা আপনাকে ১ টি Warning আপনাকে  দিবে এইভাবে তিনবার Warning খেলে আপনার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হয়ে যাবে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনার Warning একে একে তুলে নিতে পারে যদি ওদের Instructions এ জেভাবে কাজ করতে বলেছে সেই ভাবে কাজ করেন।
২। এক পিসি থেকে ১ টির বেশি অ্যাকাউন্ট খোলা যাবেনা।
                        সুবিধা সমূহ
১। কোন টাকা ইনভেস্ট করতে হয় না।
২। অনেক পুরতন সাইট। অনেক দিন যাবত প্রেমেন্ট করে আসছে।
৩। PTC সাইটের মধ্যে ইনকাম অনেক বেশি।
৪। নতুনরাও এখানে কাজ করতে পাররে।
৫। ওরাই আপনাকে কাজ শিক্ষিয়ে দেবে। ওদের ভিডিও টিওটরিয়াল দেখে দেখে আপনি কাজ শিক্ষতে পারবেন।
৬।কাজ অনেক সহজ।
৭। কাজও পাওয়া যায় অনেক।
৮।দশটার মত কাজের ক্যাটাগরি আছে।
৯। PTC সাইট হলেও PCT সাইটের মত কাজের ধরন না।
১০। অনেক বাঙ্গালি কাজ করে তাই কোন সমস্যা হলে তাদের কাছে থেকে সাহায্য পাবেন।
অাশা করি বুঝতে পারছেন। তার পরেও কোন সমস্যা থাকলে সরাসরি অামার সাথে যোগাযোগ করুন আমি আপনাকে সাহায্য করব ইনশাআল্লাহ । অামার ফেসবুক অাইডি এখানে ক্লিক করুন
fb.com/md.f0ysal
আজ এই পর্যন্তই ভাল থাকবেন। আল্লাহ হাফেয